সৌম্য সরকার!
এক যুগ ধরে একি সিনেমা! প্রেক্ষাপট এক — রেজাল্ট জিরো! কিন্তু প্রশ্ন হলো, আর কতবার? কখনো কখনো দলে থাকাটা সৌম্যর জন্য পারফরম্যান্সের কারণে না, বরং পুরনো দিনের স্মৃতি আর ‘হয়তো এবার করবে’ এই ভুল আশার কারণে!
---
দেখে নিন সৌম্যর ‘গ্রেটনেস’:
🔹 ৪টা টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন — ফলাফল?
১৭ ম্যাচে ১৬১ রান!
গড় ৯.৪৭!
স্ট্রাইক রেট ৯৮!
বেস্ট? ২১ রান!
ডাক? ৪ বার!
৮ ইনিংসে ডাবল ডিজিটও না!
বলুন ভাই, এটা কি ব্যাটসম্যানের রেকর্ড? না বোলারের?
কেউ না জেনে শুনলে বলবে, এ হয়তো বোলার — ব্যাটে ১০-২০ রান করলেই হবে। অথচ, এই মানুষটা ওপেনার! ৪ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইনিংস খুলেছেন এই লিজেন্ড ।
শুধু বিশ্বকাপ বললে কম হবে। এশিয়া কাপে দেখুন — ৫ ম্যাচে ৯৪ রান, গড় ১৮, স্ট্রাইক রেট ১০৬! একমাত্র ‘হাইলাইটস’ ইনিংস পাকিস্তানের সাথে — ৪৮ বলে ৪৮।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমন কিছু ‘পুরনো নাম’ আছে, যারা বছরের পর বছর দলে থাকে আর ছোট দলের বিপক্ষে কিছু রান করলে নির্বাচক প্যানেল যেন শান্তি পায় — ‘এই তো, ফর্মে ফিরছে!’
আসলে কি ফিরছে? বড় মঞ্চে গেলেই সব ফ্লপ! বিশ্বকাপে প্রতিবারই একই কাহিনী — ওপেনিংয়ে আড়ম্বর, ফলাফল: স্কোরবোর্ডে শূন্য!
এদিকে বয়স এখন ৩২। ক্যারিয়ার পড়তির দিকে। এরপরও যদি নতুন করে আরেকটা বিশ্বকাপে এই “প্রুভেন ফ্লপ” এর উপর বাজি ধরতে হয় — তাহলে তো স্পষ্ট হয়ে যায় আমরা এখনও ভবিষ্যতের জন্য শিখছি না!
জানুন এক যুগে যা পারেনি, সামনে আর পারবে না — এই সোজা হিসাব বোর্ড বুঝবে কবে?
আরেকটা কথা — একটা দলে যদি কোনো খেলোয়াড় বছরের পর বছর ধরে শূন্য আর সিঙ্গেল ডিজিট মেরে যায়, তবুও দলে থাকে — তাহলে সেটা সেই খেলোয়াড়ের দোষ না, টিম ম্যানেজমেন্ট আর নির্বাচক প্যানেলের দোষ। সৌম্যের ব্যর্থতায় সৌম্য যতটা দায়ী, তার চেয়ে বড় সিলেকশন প্যানেল এর ।
বাংলাদেশের হাতে বিকল্প হয়তো নেই কিন্তু ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে আবরার - তামিমরা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে জিসান আলম, সাইফ হাসান, জাকির হাসান — যারা অন্তত চেষ্টা করলে আগামী দিনের জন্য কিছু শিখবে, কিছু শিখাবে। এদের একটু ঝালিয়ে নিলে অন্তত এই ‘এক যুগের ব্যর্থতা’ বারবার রি-টেলি হবে না।
সামনের টি-২০ বিশ্বকাপ আর টি-২০ এশিয়া কাপ — দুই মঞ্চেই সৌম্য সরকারকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে সুযোগ দিন। অন্তত নতুন কারো হাত ধরে নতুন গল্প শুরু হবে, পুরনো “ডাবল জিরো” গল্প না।